সাতাশ দিনের রমিজকে নিয়ে রমিজের দাদা ছেলের বৌ সহ ঢাকা আসে প্রায় কুড়ি বৎসর আগে। দাদা যে বাড়ির দারোয়ান মা সেই বাড়িরই কাজের বুয়া। দাদা, মা আর রমিজ এই বাড়িতেই থেকেছে দাদা মারা যাবার আগ পর্যন্ত।
কিশোর রমিজ মা’র চাকরি হারাবার পর উঠে এসেছে ভাসানটেকের এই বস্তিতে। বনানীর অভিজাত বাড়ি-ঘরের স্বাদ-রূপ ছেড়ে এই বস্তিতে এসে ভালো লাগেনি মোটেও। সব্জি বিক্রেতা জব্বারের কাছে রমিজকে কাজে দিয়ে মা যখন
বাড়ি-বাড়ি ছুটা বুয়ার কাজ করে বেড়ায় রমিজের হাহাকার তখন আকাশে বাতাসে মিশে যায়। সারাদিনের প্রচন্ড পরিশ্রমের পর ক্লান্তিমাখা রাতের ঘুমে মাঝে মাঝে রমিজ মাকে পাশে পায়। ঘুম চোখে মাকে জড়িয়ে ধরে হলুদ মরিচ আর