Blog



 

: 01-Jun-2019


বাবা

সাতাশ দিনের রমিজকে নিয়ে রমিজের দাদা ছেলের বৌ সহ ঢাকা আসে প্রায় কুড়ি বৎসর আগে। দাদা যে বাড়ির দারোয়ান মা সেই বাড়িরই কাজের বুয়া। দাদা, মা আর রমিজ এই বাড়িতেই থেকেছে দাদা মারা যাবার আগ পর্যন্ত।

কিশোর রমিজ মা’র চাকরি হারাবার পর উঠে এসেছে ভাসানটেকের এই বস্তিতে। বনানীর অভিজাত বাড়ি-ঘরের স্বাদ-রূপ ছেড়ে এই বস্তিতে এসে ভালো লাগেনি মোটেও। সব্জি বিক্রেতা জব্বারের কাছে রমিজকে কাজে দিয়ে মা যখন
বাড়ি-বাড়ি ছুটা বুয়ার কাজ করে বেড়ায় রমিজের হাহাকার তখন আকাশে বাতাসে মিশে যায়। সারাদিনের প্রচন্ড পরিশ্রমের পর ক্লান্তিমাখা রাতের ঘুমে মাঝে মাঝে রমিজ মাকে পাশে পায়। ঘুম চোখে মাকে জড়িয়ে ধরে হলুদ মরিচ আর


 


সৃজনশীলতা : শিশু বিকাশ প্রসঙ্গে

‘সৃজনশীলতা’কে সামর্থ্য বা ক্ষমতার আঙ্গিকে মূল্যায়ন করা যায়। অর্থাৎ নতুন কোনো পরিবেশে নতুন করে ভাববার এবং ভেবে নতুন কিছু উদ্ভাবন করার ক্ষমতা বা সামর্থ্যকে সৃজনশীলতার প্রতি নির্দেশ করে। সকল মানুষই কম বা বেশি সৃজনশীল। অন্য সকল গুণের মধ্যে সৃজনশীলতা হলো এমন এক মৌলিক বৈশিষ্ট্য যা আরো বহু গুণের উদ্গতা। অর্থাৎ সৃজনশীল মানস ব্যক্তি মানুষকে আরো বেশি উন্নত মানুষে পরিণত করে। ব্যক্তির আচরণে ধনাত্মক পরিবর্তন ঘটানোয় সৃজনশীলতার গুণটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। সদা ক্রিয়াশীল এবং চৈতন্য নির্মাণের সামগ্রিক  পরিকাঠামোতে সৃজনশীলতা অনন্য ভূমিকাদায়ী। শিখন-পরিণমন ব্যক্তিকে সমসাময়িক করে গড়ে তুলতে পারলেও সৃজনশীলতার গুণটিকে ক্রম চর্চায় আরো বেশী উন্নীত না করলে ব্যক্তির বেড়ে ওঠায় একটা


 


সংস্কৃতি চর্চায় উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।

সংস্কৃতি চর্চায় উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। মানুষ হয়ে উঠে আরো বেশি মানবিক। এরূপ মানুষই হয়ে থাকে নান্দনিকতার বোধি সম্পন্ন মানুষ। নান্দনিক রুচিশীল নাগরিক দেশ-জাতির জন্য সুদীর্ঘ এক সভ্যতা নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।